dainik rswadesh
- ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ / ৭৭ বার পঠিত

গত ১২ ই জানুয়ারি রবিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জে যমুনা লাইমসের ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া ২০ টন চুনা ভর্তি একটি ট্রাক আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস। রহস্যজনক কারনে মাত্র ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে ট্রেজারি জমা দিয়ে চুনা ভর্তি ট্রাকটি ছাড়িয়ে নেন মালিকপক্ষ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের দিকে ঢাকা-মেট্রো- ট ১৬-৫২৭৫ চুনা ভর্তি ট্রাকটি রওনা দিলে আটক করা হয়। ট্রাকে চুনার চালান অনুযায়ী ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মালামাল সহ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের এসির নির্দেশ অনুযায়ী ১২ লক্ষ টাকার ভ্যাট ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য যমুনা লাইমস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। যমুনা লাইমস কর্তৃপক্ষ যদি উক্ত টাকা ব্যাংকে জমা না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কাস্টমস কর্মকর্তা আলিমের যোগসাজশে জরিমানা সহ মাত্র ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক জমা দিয়ে চুনা গাড়ীটি নিয়ে যায় মালিকপক্ষ । নাম প্রকাশ না করার শর্তে চুনা কারখানার কয়েকজন ব্যক্তি জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের আলিমের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টা রফাদফা করেন যমুনা লাইমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমস কর্মকর্তা আলিম সহ আরো অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চুনা কারখানার মালিকদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । কর্মকর্তারা কখনো কাস্টমসের এসি আবার কখনো কমিশনারের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি।
যমুনা লাইমসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, গত রবিবার আমাদের একটি চুনার গাড়ি আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস এবং ভ্যাট ফাঁকি দেওযার দায়ে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট জমা দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়েছি। আপনাদের প্রতিষ্ঠান সবসময় ভ্যাট ফাঁকি দেন প্রমানিত হলো এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম আমতা আমতা করে ফোন রেখে দেয়।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে সরকার শুধুমাত্র চুনা কারখানাগুলোতেই প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জে ১৬ টি চুনা কারখানা রয়েছে, তন্মধ্যে যমুনা লাইমসের মালিক খোরশেদ আলম। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ চুনা ব্যবসা করে আসছে। বিগত ৩০বছরের হিসেবে তিনি সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির অভাবে এসব চুনা কারখানা থেকে সরকার প্রতি মাসে বিরাট অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই ঐসব দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সচেতন মহলের দাবি, সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনলে দেশে অনেক দুর্নীতি কমবে।
উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের বিভাগীয় সরকারী কর্মকর্তা কাজী ফারুক বলেন, চুনা কারখানা যমুনা লাইমস থেকে ভ্যাট ফাঁকির দায়ে জরিমানা সহ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সরকারের ভ্যাট আদায় করা হয়, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।